বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ ছহীহ নূরানী কোরআন শরীফ এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম যে কুরআন নিজে শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। (বুখারী) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, (ফরয ইবাদতের পর) কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করাই সর্বোত্তম ইবাদত। (কানযুল উম্মাল) রসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যার অন্তরে কুরআনের কিছু অংশও নেই, সে যেন একটি বিরান গৃহ। (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে থাক! কারণ, যারা সদাসর্বদা কোরআন তেলাওয়াত করে, কেয়ামতের দিন কোরআন তাদের জন্য সুপারিশ করবে! (মুসলিম) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে কোরআন শরীফের এক অক্ষর তেলাওয়াত করে সে একটি নেকী পায়! এই এক নেকি দশ নেকির সমান! আমি বলি না যে, = একটি হরফ, বরং = (আলিফ) একটি হরফ, = (লাম) একটি হরফ, = (মীম) একটি হরফ! এ হিসাবে প্রতি হরফে দশটি করে নেকী পাবে। (তিরমিযী)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে কোরআন শিক্ষা করেছে ও তদানুযায়ী আমল করেছে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তার পিতা মাতাকে এমন একটি নূরের মুকুট পরাবেন, যার আলো সূর্যের আলো হতেও অধিকতর উজ্জ্বল হবে। তোমাদের দুনিয়ার ঘরে সূর্যের আলো পড়লে যেরূপ আলোকিত হয়, তার আলো তদপেক্ষা অধিক হবে। সুতরাং কুরআনের শিক্ষার্থী এবং তদানুযায়ী আমল কারীর পিতামাতারই যদি এ মর্যাদা হয়, তবে বল দেখি সে ব্যক্তি সম্পর্কে (তোমাদের কি ধারণা)। (আহমদ, আবু দাউদ)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত এবং মুখস্থ করবে, আর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন এবং তার নিকটাত্মীয়দের এমন দশ জন লোকের জন্য তার সুপারিশ গ্রহণ করবেন যাদের জন্য জাহান্নাম সাব্যস্ত হয়েছিল। (তিরমিযী)
রসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জীবিকার্জনের উদ্দেশ্যে কুরআন শিক্ষা করবে, কেয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার চেহারা বৃহৎ আকারের হবে, কিন্তু তাতে মোটেই গোশত থাকবে না! তাকে দেখে লোকেরা চিনে ফেলবে যে, এ পাপের কারণেই তার এ অবস্থা হয়েছে। (বায়হাকী-শুয়াবুল ঈমান)
হযরত ওকবা বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে চামড়ায় কালামে পাক অর্থাৎ কোরআন শরীফ আছে, আগুনে নিক্ষিপ্ত হলেও তা জ্বলবে না। অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত কারী জাহান্নামের অগ্নি হতে সুরক্ষিত থাকবে। (দারেমী)