Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

১০৯ টি দোয়ার ভান্ডার pdf

১০৯ টি দোয়ার ভান্ডার pdf Info

১০৯ টি দোয়ার ভান্ডার pdf Description

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; দোয়া সংক্রান্ত বই ১০৯ টি দোয়ার ভান্ডার এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

দো’আ অর্থ আহ্বান করা। আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করবেন, অতঃপর তোমরা তাঁর প্রশংসা করতে করতে চলে আসবে। দো’আ অর্থ অনুনয়- বিনয় করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সাহায্যকারীদেরকে বিনয়ের সাথে ডাক’ (বাক্বারাহ ২৩)। দো’আ অর্থ প্রশংসা সহকারে ডাকা। আল্লাহ বলেন, “হে নবী! আপনি বলুন, আমি আল্লাহর প্রশংসা করি অথবা রহমানের প্রশংসা করি।

(১) লাইলাতুল কদর দো’আ কবুলের অন্যতম সময় : আল্লাহ তা’আলা লাইলাতুল কন্দরকে এক হাযার মাসের চেয়ে উত্তম বলেছেন (ক্বদর ৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইবাদতের জন্য লাইলাতুল কদরকে খুঁজতে বলতেন এবং নিজে লাইলাতুল কদরে সিজদা করতেন (বুখারী, আলবানী, মিশকাত, হা/২০৮৬ ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘লাইলাতুল ক্বদর’ অনুচ্ছেদ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে লাইলাতুল কদরে নিম্নোক্ত দো’আটি পড়তে বলেন, (আল্ল-হুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নী)।

“হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমাকে ভালবাসেন, কাজেই আমাকে ক্ষমা করুন’ (আহমাদ, তিরিমিযী, ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, তাহক্বীক্ব মিশকাত, হা/২০৯১)। রাসূল (ছাঃ) লাইলাতুল কদরে ইবাদত করতেন এবং স্বীয় পরিবারকে ইবাদতের জন্য জাগিয়ে দিতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত, হা/২০৯০)।

(২) আরাফার মাঠে : উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সওয়ারীর পিছনে ছিলাম, তিনি সেখানে দু’হাত তুলে দো’আ করলেন’ (ছহীহ নাসাঈ, হা/৩০১১ ‘আরাফার মাঠে দু’হাত তুলে দো’আ করা’ অনুচ্ছেদ, ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। অন্যত্র বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলা আরাফার দিন মানুষকে সবচেয়ে বেশী জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন এবং ফেরেশতাগণের সামনে গৌরব করে বলেন, ‘এ সকল মানুষ (আরাফার মাঠে) কি চায়? অর্থাৎ যা চায় তাই প্রদান করা হবে’ (মুসলিম, ছহীহ ইবনু মাজাহ, হা/২৪৫৮; মিশকাত হা/২৫৯৪, ‘আরাফার মাঠে অবস্থান’ অনুচ্ছেদ)।

(৩) ছাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপর : জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাফা পাহাড়ের উপর উঠে তিনবার বললেন, উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকালাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়া লাহুল হাম্‌দু ইউহ:ই ওয়া ইউমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইং ক্বদীর । অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন হক্ক মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর হাতে, প্রশংসা একমাত্র তাঁর। তিনি জীবন দান করেন এবং তিনি মরণ দান করেন, তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী’।

অতঃপর আল্লাহু আকবার বললেন ও আল-হামদুলিল্লাহ বললেন এবং তাঁর শক্তি- সামর্থ্য অনুপাতে দো’আ করলেন। অনুরূপ মারওয়া পাহাড়ে উঠে বললেন, (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকালাহু লাহুল মুল্‌কু ওয়া লাহুল হাম্‌দু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইং ক্বদীর।) অতঃপর আল্লাহ্ ইচ্ছা অনুযায়ী দো’আ করলেন (ছহীহ নাসাঈ, হা/২৯৭৪, অনুচ্ছেদ ১৭২, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ)।

(৪) ‘বায়তুল্লাহ” বা কা’বা ঘরকে দেখে দো’আ : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কায় প্রবেশ করে ‘হাজারে আসওয়াদ’ বা কাল পাথরের পাশে এসে পাথরটিকে চুম্বন করলেন, বায়তুল্লাহ ত্বাওয়াফ করলেন এবং ছাফা পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহ্ দিকে মুখ করে হাত তুলে দো’আ, যিকির ও প্রার্থনা করতে লাগলেন (ছহীহ আবুদাউদ, হা/১৮৭২; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৫৭৫ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)।

(৫) ছিয়াম অবস্থায় : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোকের দো’আ ফেরত দেওয়া হয় না। তন্মধ্যে একজন হচ্ছে ছিয়াম পালনকারী, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে’ (ছহীহ ইবনু মাজাহ, হা/১৪৩২ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ)।

(৬) জুম’আর দিনে : আবু লুবাবা ইবনু আব্দুল মুনযের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘জুম’আর দিন এমন একটি সময় আছে, যে সময়ে বান্দা কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা প্রদান করেন’ (ছহীহ ইবনু মাজাহ, হা/৮৯৫; সনদ হাসান, মিশকাত হা/১৩৬৩, ‘ছালাতুল জুম’আ’ অনুচ্ছেদ)। আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ্র কিতাবে জুম’আর দিনে এমন একটি সময় পাই, যে সময়ে বান্দা ছালাত আদায় করে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করেন (ছহীহ আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, হা/৯৪১; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১৩৫৯)।

ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, দো’আ কবুলের চূড়ান্ত সময় হচ্ছে ইমাম ছাহেবের মিম্বরে বসা হ’তে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/১৩৫৯)। অন্য বর্ণনায় আছে, আছর হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (ইবনু মাজাহ, বুলূগুল মারাম হা/৪৫৪)।

(৭) হজ্জ পালনকালে পাথর নিক্ষেপের পর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শেষের দু’দিন পাথর নিক্ষেপের পর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং অনুনয়-বিনয় করে দো’আ করতেন’ (ছহীহ আবুদাউদ, হা/১৯৭৩; ‘মানাসিক’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি পশ্চিম মুখী হয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে হাত উঠিয়ে প্রার্থনা করতেন (বুখারী হা/১৭৫৩; নাসাঈ, হা/৩০৮৩ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)।

(৮) রাতে : মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি ওযূ করে দো’আ পড়ে রাতে শয্যা গ্রহণ করে, তারপর শেষ রাতে উঠে সে আল্লাহ্র নিকট যা চায়, আল্লাহ তাকে তা প্রাদান করেন’ (আহমাদ, আবুদাউদ, সনদ ছহীহ, মিশকাত, হা/১২১৫ ‘রাতে জাগ্রত হয়ে কি বলবে’ অনুচ্ছেদ)।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক রাতের দুই-তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিব, যে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা/১২২৩)।

Rate the Post

Categories

Writers

Popular Books

Scroll to Top