বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ইমাম বুখারী রহঃ কর্তৃক সংকলিত শিষ্টাচার সংক্রান্ত হাদিস গ্রন্থ আল আদাবুল মুফরাদ এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।
লেখক | ইমাম বুখারী রহঃ |
ধরণ | হাদিস |
ভাষা | বাংলা |
প্রকাশক | ইসলামিক ফাউন্ডেশন |
প্রকাশকাল | সেপ্টেম্বর ২০০৮ |
পৃষ্ঠা | ৫৭৭ |
ফাইল সাইজ | ২২.২ MB |
ফাইল টাইপ |
ইসলামী শরীয়তের উৎস হিসেবে আল-কুরআনের পর আল-হাদীসের স্থান। আল-হাদিস একদিকে যেমন আল-কুরআনের ব্যাখ্যা, অন্যদিকে রাসূলে করীম (সা)-এর জীবনের বাস্তব চিত্র। হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হচ্ছে বুখারী শরীফ। হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই হাদীস গ্রন্থটি সংকলন করেন ইমাম বুখারী নামে খ্যতি হযরত আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী (র)।
হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের ব্যাপারে ইমাম বুখারী (র)-এর নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং সতর্কতা সুবিদিত। সহীহ হাদীস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি বহু দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন। অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে তিনি সনদসহ প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেন এবং দীর্ঘ ষোল বছর রাসূলুল্লাহ (সা)-এর রওজায় আকদাস এর পাশে বসে প্রতিটি হাদীস গ্রহণের আগে মোরাকাবার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সম্মতি লাভ করতেন।
ইমাম বুখারী (র) সংকলিত সহীহ আল-বুখারীর পর তার যে কিতাবটি মুসলিম সমাজে সমধিক পরিচিত ও সমাদৃত তা হচ্ছে “আল-আদাবুল মুফরাদ’। এটি মূলত শিষ্টাচার সংক্রান্ত হাদীসের সংকলন। ইসলামী সমাজে ‘মু’আমিলা’ তথা পারস্পরিক সম্পর্কের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মূলে মুসলমানদের এই গ্রন্থটিই কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আল-কোরআনে ইরশাদ হয়েছে। “হে মুমিনগণ! তোমরা যা করনা তা তোমরা কেন বল। তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা আল্লাহর দৃষ্টিতে অতিশয় অসন্তোষজনক।” (সূরা সাফফ ২-৩)