Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

কুরআন পড়ুন সহজ পদ্ধতিতে pdf

কুরআন পড়ুন সহজ পদ্ধতিতে pdf Info

কুরআন পড়ুন সহজ পদ্ধতিতে pdf Description

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ড. আবদুল আযীয আবদুর রহীম লিখিত বই কুরআন পড়ুন সহজ পদ্ধতিতে এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

সকল প্রশংসা ও গুণগান একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য, সলাত ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর উপর। তিনি বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম যে নিজে কুরআন শেখে এবং অপরকে শেখায়” [সহীহ বুখারী]।

নির্ভুল ও তারতীলসহ কুরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলিমের একান্ত কর্তব্য। কুরআন তিলাওয়াত করার প্রতিদান অনেক। ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন: আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন, “যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর পড়বে, তার আমলনামায় ভালো কাজের সওয়াব লেখা হবে এবং একটি ভালো কাজের প্রতিদান দশ গুণ। আমি বলছি না যে আলিফ-লাম-মীম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর” [আত তিরমিযী]।

অপর একটি হাদিসে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (স.) বলেছেন: নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি সুন্দর, সাবলীল এবং নির্ভুল ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করবে সে মহান ব্যক্তি এবং অনুগত ফেরেশতাদের সাহচর্যে থাকবে। আর যে ব্যক্তি কষ্ট করে, জড়তার সাথে কুরআনের আয়াত পড়বে তাকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেয়া হবে”। [বুখারী ও মুসলিম]।

এই সিরিজের বইগুলোতে আমরা সাধ্যানুযায়ী শিশু-কিশোর এবং একইসাথে প্রাপ্তবয়ষ্কদের সহজে কুরআন শেখাতে চেষ্টা করেছি। এই বইটির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে। এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে প্রদান করা হলো:

১. অনুশীলন করার জন্য ৪০০টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বাছাই করা হয়েছে যা কুরআনে মোট ৭৮০০০ শব্দের মধ্যে পাওয়া যাবে প্রায় ৩৯,০০০ বার। এছাড়াও বইটি পাঠ শেষে আপনারা তাজবীদের নিয়ম ও প্রয়োগসহ কুরআনের ৫০% শব্দ পড়তে সক্ষম হবেন। শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারায় প্রতিটি শিক্ষার্থী আনন্দ ও উৎসাহ অনুভব করবে, যেহেতু সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কিতাবের ঘনিষ্টতা অর্জন করছে।

২. প্রতিটি পাঠে আপনি নতুন নতুন শব্দ শিখবেন যেগুলো কুরআনে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। কী পরিমাণ অগ্রসর হতে পারলেন তার একটি ধারণা পেতে পারেন আপনি যে সমস্ত শব্দ শিখছেন তার হিসাব থেকে। শেখার আগ্রহ বাড়াতে এটি আপনাকে আরো সাহায্য করবে।

৩. প্রতিটি অক্ষরের উচ্চারণের স্থান (মাখরাজ) এর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শব্দগুলো শেখানো হয়েছে। সঠিকভাবে উচ্চারণ করা এবং কাছাকাছি ধ্বনিযুক্ত শব্দগুলির পার্থক্য অনুধাবনে এটি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে।

8. প্রায় প্রতিটি অক্ষর শেখানোর জন্য এমন জিনিসের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলোর শুরু হয়েছে অক্ষরটি দিয়ে। এটি যে শুধু সংযোগ তৈরি করবে তা নয়, বরং শিক্ষার্থীর মনে অক্ষরটিকে জায়গা করে দিতে সহায়তা করবে।

৫. ব্যাখ্যার সুবিধার্থে প্রারম্ভিক পর্যায় হতেই ছবি ব্যবহার করে মাখরাজ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

৬. বিভিন্ন হারাকাতের বা স্বরধ্বনি সম্পর্কিত অনুশীলনীর জন্য অক্ষরগুলি মাখরাজ অনুসারে সাজানো হয়েছে যাতে মাখরাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৭. অক্ষরের বিভিন্ন ধরণকে সহজে শেখানোর জন্য তাদেরকে পূর্ণ এবং সংক্ষিপ্ত রূপ দেখানো হয়েছে। শব্দের মধ্যে অক্ষরের সংক্ষিপ্ত-রূপ পরিচিত করার লক্ষ্যে সংযোজকসহ বিভিন্ন ব্যবহার দেখানো হয়েছে।

৮. শিক্ষার্থীগণ যেন পবিত্র কুরআনের শব্দগুলি পড়তে অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য একেবারে প্রথম থেকেই সংক্ষিপ্ত রূপ শেখানো হয়েছে।

৯. শুরু থেকেই প্রতিটি অক্ষর ফাতহাহ (যবর) দিয়ে অনুশীলন করানো হয়েছে। এটি অক্ষরের মাখরাজ বুঝতে সহায়তা করবে। উদাহরণস্বরূপ, ‘জীম’ (~~~) অক্ষরের নামের সাথে একটি অতিরিক্ত ই (৬) ও ‘ম’ (p) ধ্বনি আছে; অথচ ‘জা’ (২) ধ্বনিটি ‘জীম’ (~~~) এর প্রকৃত ধ্বনিকে প্রকাশ করে। তাছাড়া ফাতহাহসহ আরবী অক্ষরগুলো কুরআনে হাজার বারেরও বেশি এসেছে। আর হারাকাত ছাড়া এসেছে কেবলমাত্র মুকাত্তাআত (বিচ্ছিন্ন বর্ণ) অক্ষরের মধ্যে। মুক্বাত্তাআত (বিচ্ছিন্ন বর্ণ) অক্ষরগুলি কুরআনে মাত্র ৫০ (প্রায়) বার এসেছে।

১০. পাঠ নং ১৩ থেকে প্রতিটি শব্দকে আলাদা আলাদা অক্ষরে ভেঙে শেখানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী সহজেই শিখতে পারে।

১১. আরবী শব্দের অর্থ শব্দের ঠিক নিচেই দেওয়া হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে যে পবিত্র কুরআন হচ্ছে আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত কিতাব যা বুঝতে হবে এবং সেই মোতাবেক চলতে হবে। অর্থগুলি একজন শিক্ষক মাঝে মাঝে শিশু শিক্ষার্থীদেরকে জানিয়ে দিবে।

১২. প্রতিটি পাঠের প্রতি লাইনে শব্দগুলি এমনভাবে বেছে নেয়া হয়েছে যেন তা ছন্দময় হয়। এতে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়বে। তারা ছন্দাকারে শব্দগুলি পাঠ করতে করতে শিখে ফেলে।

১৩. প্রতিটি পাঠে শব্দগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যার ফলে প্রথমে সহজ শব্দ তারপর ক্রমান্বয়ে জটিলতর শব্দ আসে।

১৪. কয়েকটি পাঠের পর পর পুনরালোচনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যেন পূর্ববর্তী পাঠে যা শেখানো হয়েছে তা অনুশীলনের মাধ্যমে মনে থাকে।

১৫. ইন-বিল্ট তাজবীদ শেখার অংশ হিসাবে, সুকুন শেখার বিষয়টি ৬টি পাঠ পর্যন্ত প্রলম্বিত করা হয়েছে (যেমন: কলকলা, নরম (লীন) শব্দ, হামস, ইত্যাদি)। সাধারণত সুকুন প্রথমে শেখানো হয় এবং কলকলা পরে। কোনো শিক্ষার্থী একবার ভুল উচ্চারণে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, পরে তার সঠিক উচ্চারণ শেখা কঠিন হয়ে যায়। সে জন্য প্রথম থেকেই সুকুনের বিভিন্ন প্রয়োগ শেখানো হয়েছে।

১৬. ইন-বিল্ট তাজবীদের একই আদল অনুসরণ করে তাশদীদ তিন পাঠে শেখানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

১৭. এই বইয়ে মাদ্দ-এর সহজবোধ্য নিয়ম দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ের উপর উচ্চতর কোর্সে বিস্তারিত নিয়ম পরে শেখানো যেতে পারে।

১৮. তাজবীদের পাঠগুলো সহজ হতে জটিলের দিকে ক্রমান্বয়ে সাজানো হয়েছে।

১৯. সহজে শেখা এবং মনে রাখার সুবিধার্থে তাজবীদের পরিভাষাগুলো সহজ শব্দে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে! যেমন: ‘ইযহার’, ইখফা’, ‘ইদগাম, এবং ইকলাব-কে সহজ কথায় ‘স্পষ্ট’, ‘গোপন’, ‘যুক্ত’, ও ‘পরিবর্তন’ বলা হয়েছে।

২০. বইটি শেষে তাজবীদের নিয়ম-নীতিগুলোর একটি সচিত্র বিবরণী দেয়া হয়েছে।

২১. এখানে আরবীর জন্য একটি বিশেষ ফন্ট ডিজাইন করা হয়েছে! প্রতিটি হারাকাত (স্বরধ্বনি) চিহ্ন অক্ষরের খুব কাছাকাছি রাখা হয়েছে! ইখফা, গুন্নাহসহ তাশদীদ, মোটা রা, কলকলা, লাম-ই-জালালার জন্য মোটা লাম প্রভৃতির জন্য বিভিন্ন চিহ্ন ডিজাইন করা হয়েছে।

২২. হাতে লেখার চেয়ে আরবী ফন্ট-এর একটি অতিরিক্ত সুবিধা আছে! অক্ষরের আকৃতি সবসময় একই রূপ থাকে! এটি বিভ্রান্তি কমাতে সাহায্য করে।

২৩. আরবী ফন্ট-এর আরোও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে! প্রতিটি হারাকাত তার নিজস্ব অক্ষরের নির্ধারিত স্থানে দেয়া যায়! ফলে কোনো শিক্ষার্থী শব্দগুলি পড়তে গিয়ে কোনরূপ দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে না।

২৪. প্রতিটি পাঠে, যে নিয়মগুলি শেখানো হচ্ছে তার সংশ্লিষ্ট অক্ষরগুলো বিশেষভাবে জোর দেয়ার জন্য লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।

২৫. গুরুত্বপূর্ণ ধারণার প্রতি জোর দেওয়ার জন্য ‘ছবি’ (আইকন, লোগো) ব্যবহার করা হয়েছে! শেখানোর পদ্ধতিটি সহজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য টিপস, কৌশল ও গল্প সংযোজিত হয়েছে।

২৬. শিশুদের মাখরাজ শেখানোর জন্য ছোট সহজ সরল কবিতা রচনা করা হয়েছে। এর দশটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ক. পূর্ণ সেট: কবিতাটি ২৯টি অক্ষরের পূর্ণ সেট শিক্ষা দান করে।

খ. আঙ্গুলের ডগায়: হাত, আঙ্গুল এবং আঙ্গুলের কড়া ব্যবহার করে কবিতাটি শেখানো হয়! প্রতিটি অক্ষরকে হাতের মধ্যে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে! এই কবিতার সাহায্যে শিশুরা তাদের হাতের সাহায্যে আরবী বর্ণমালা (হুরুফ-ই-তাহাজ্জী) এবং মাখরাজ শিখতে পারবে।

গ. অক্ষর বিন্যাস: আরবী অক্ষরগুলিকে সাধারণ ক্রম অনুযায়ী বিন্যাসের বদলে কবিতার মধ্যে মাখরাজের ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা হয়েছে।

ঘ. দলভুক্ত: প্রায় প্রতিটি আঙ্গুল একই মাখরাজভুক্ত অক্ষরের একটি গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে! হুরুফি- হালকি (গলার অক্ষর) আলাদাভাবে মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই কারণ কবিতাটিতে অক্ষরগুলো দলবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে।

Rate the Post

Categories

Writers

Popular Books

Scroll to Top