Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

কবীরা গুনাহ ইমাম আযযাহাবী pdf download

কবীরা গুনাহ ইমাম আযযাহাবী pdf download Info

কবীরা গুনাহ ইমাম আযযাহাবী pdf download Description

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ইমাম আযযাহাবী লিখিত বই কবীরা গুনাহ এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

আল্লাহর কিতাব, রাসূলের (সা) সুন্নাহ ও অতীতের পুণ্যবান মনীষীদের বর্ণনা থেকে যেসব জিনিস আল্লাহ ও রাসূল কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ বলে জানা যায় ৷ সেগুলিই কবীরা (বড়) গুনাহ। কবীরা ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকলে সগীরা (ছোট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে বলে আল্লাহ কুরআনে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন:

তোমরা যদি বড় বড় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাক তাহলে আমি তোমাদের (অন্যান্য) গুনাহ মাফ করে দেবো এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবো।” (সূরা আন নিসা)

আল্লাহ তায়ালা এই অকাট্য ও দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দ্বারা কবীরা বা বড় বড় গুনাহ থেকে যারা সংযত থাকে তাদের জন্য স্পষ্টতই জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সূরা আশ্ শূরাতে আল্লাহ বলেনঃ

“আর সেই সব ব্যক্তি, যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে সংযত থাকে এবং রাগান্বিত হলে ক্ষমা করে।” এবং সূরা আন নাজমে আল্লাহ বলেন : “আর যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে, তাদের জন্য আল্লাহর ক্ষমা খুবই প্রশস্ত। অবশ্য ছোটখাটো গুনাহর কথা আলাদা। ” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “প্রতিদিন পাঁচবার নামায, জুময়ার নামায পরবর্তী জুময়া না আসা পর্যন্ত এবং রমযানের রোযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত মধ্যবর্তী গুনাহ সমূহের ক্ষমার নিশ্চয়তা দেয়- যদি ‘কবীরা গুনাহ’ সমূহ থেকে বিরত থাকা হয়।”

এই কয়টি আয়াত ও হাদীসের আলোকে আমাদের জন্য কবীরা গুনাহসমূহ কি কি তা অনুসন্ধান করা অপরিহার্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়! এ ব্যাপারে আমরা আলেম সমাজের মধ্যে কিছু মতভেদ দেখতে পাই! কারো কারো মতে কবীরা গুনাহ সাতটি। তাঁরা যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, রাসূল (সা) বলেছেন : “তোমরা সাতটি সর্বনাশা গুনাহ থেকে বিরত থাকো।

আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, যাদু করা, শরীয়াতের বিধিসম্মতভাবে ছাড়া কোন অবৈধ হত্যাকান্ড ঘটানো, ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাত করা, সুদ খাওয়া, যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানো, এবং সরলমতি সতীসাধ্বী মুমিন মহিলাদের ওপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ। (সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিম) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন : এর সংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি।

হাদীসে কবীরা গুনাহের কোন সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়না! তবে এতটুকু বুঝা যায় এবং অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, যে সমস্ত বড় বড় গুনাহের জন্য দুনিয়ায় শাস্তি প্রদানের আদেশ দেয়া হয়েছে, যেমন হত্যা, চুরি, ও ব্যভিচার, কিংবা আখিরাতে ভীষণ আযাবের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে অথবা রাসূলের (সা) ভাষায় সেই অপরাধ সংঘটককে অভিসম্পাত করা হয়েছে, অথবা সেই গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তির ঈমান নেই, বা সে মুসলিম উম্মাহর ভেতরে গণ্য নয়- এরূপ বলা হয়েছে সেগুলি কবীরা গুনাহ।

হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে বলেছিল : কবীরা গুনাহ তো সাতটি! হযরত ইবনে আব্বাস বললেনঃ বরঞ্চ সাতশোটির কাছাকাছি! তবে ক্ষমা চাইলে ও তওবা করলে কোন কবীরা গুনাহই কবীরা থাকেনা! অর্থাৎ মাফ হয়ে যায়। আর ক্রমাগত করতে থাকলে সগীরা গুনাহও সগীরা থাকেনা, বরং কবীরা হয়ে যায়! অপর এক রেওয়ায়েত থেকে জানা যায় যে, হযরত ইবনে আব্বাস বলেছেন : কবীরা গুনাহ প্রায় ৭০টি! অধিকাংশ আলেম গণনা করে ৭০টিই পেয়েছেন বা তার সামান্য কিছু বেশী পেয়েছেন।

এ কথাও সত্য যে, কবীরা গুনাহর ভেতরেও তারতম্য আছে। একটি অপরটির চেয়ে গুরুতর বা হালকা আছে! যেমন শিরককেও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়েছে। অথচ এই গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি চির জাহান্নামী এবং তার গুনাহ অমার্জনীয়! আল্লাহ তায়ালা সূরা আন নিসায় বলেছেন : “আল্লাহ শিরকের গুনাহ মাফ করেন না! এর নিচে যে কোন গুনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করে দিতে পারেন।” অবশ্য শিরক পরিত্যাগ করলে ভিন্ন কথা।

Rate the Post

Categories

Writers

Popular Books

Scroll to Top