বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; ডা. শামসুল আরেফীন লিখিত বই কুররাতু আইয়ুন যে জীবন জুড়ায় মনন এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।
প্রশংসা তো আল্লাহরই কেবল, যিনি অমুখাপেক্ষী, একক ক্ষমতায় সব কিছু যিনি করেন; কারও ধার ধারতে হয় না যাঁর, প্রশংসা তাঁর জন্যই হওয়া চাই। আর দুরূদ ও সালাম প্রিয়নবির জন্য—আমাদের চিন্তায় টেনশনে যাঁর জীবদ্দশায় ক্ষণেক সুকুন মেলেনি, যিনি মৃত্যুশয্যায়ও আমাদের ভোলেননি, এমনকি হাশরের মাঠে আরশের ছায়ায়ও আমাদের চিন্তাই যাঁকে অস্থির করে রাখবে, কী দিয়ে শুধবো তাঁর এত ঋণ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
ফেসবুকের জন্য লিখেছিলাম কিছু কথাবার্তা। কেতাবি ঢং ছিলো না, এলোমেলো আড্ডার ভাষা। বই হিসেবে কস্মিনকালেও পাতে দেওয়া যায় না। সেই আনাড়ি আড্ডাগুলোকেই বুকে টেনে নিয়েছেন আপনারা। আপনাদের ভালোবাসার সাড়া পেয়ে দুঃসাহসী হয়ে উঠি বারবার। কুররাতু আইয়ুনকে ভালোবাসার জন্য আপনাদের শুকরিয়া। আবার একটু গপসপ করতে এলাম আপনাদের সাথে। একই ঢঙে মোড়ের টঙে রঙ চা হাতে খেজুরে আলাপ। ভিন্ন কিছু বিষয়, এলোমেলো চিন্তা, বাধনহারা কিছু স্বপ্ন –এই আর কী।
অনেক আলাপের পুনরাবৃত্তি আছে; যেহেতু এটা কন্টিনিউয়াস কোনো লেখা না, বিচ্ছিন্ন রচনার সংকলন, তাই প্রাসঙ্গিকভাবে কিছু কথা বারবার এসেছে—এতে বিরক্ত হবার কিছু নেই। মানুষ বিস্মৃতিপ্রবণ, বারবার স্মরণ করিয়ে দিলে মুমিনের ফায়দা হয়। ‘ডাক্তা(র)হস্য’ ও ‘রোগী-রহস্য’ লেখাদুটো আপনাদের পরিচিত ডাক্তার বা মেডিকেল স্টুডেন্টদের পড়ানোর আর্জি রইল।
অনেক জায়গায় সরাসরি হাদীস উল্লেখ না করে, হাদীস অবলম্বনে কথোপকথন দিয়েছি। উনারাও আমাদের মতো রক্ত-মাংসে মানুষ ছিলেন। তাঁদেরও আটপৌরে জীবন ছিলো—আমাদেরই মতো, নদীর মতো কুলকুল করে বয়ে যেতো সে-জীবন। সে-জীবনে গাম্ভীর্য ছিলো না, সাধুভাষায় কথা বলতো না সে-জীবন। আমরা কুরআন পড়ি, হাদীস পড়ি, কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারি না। আমাদের আটপৌরে জীবনে কোথায় এই আয়াত/হাদীস সেট হবে, ভাষাগত গাম্ভীর্যের কারণে ঠিক ঠাউরে ওঠা যায় না। একটু নিজেদের মতো সাজিয়ে নিলে সহজ হয়। এ-জন্যই সরাসরি হাদীস না এনে, হাদীসের অবলম্বনে লিখেছি। মূল হাদীসের রেফারেন্স দেওয়া আছে।
আবারও নানান জায়গায় তাবলিগের কথা এসেছে। আসবেই। আর যে- হাদীসগুলোতে হাদীস-নম্বর উল্লেখ করিনি, শুধু কিতাবের নাম উল্লেখ করেছি, সেগুলো হায়াতুস সাহাবাহ ও মুন্তাখাব আহাদীস থেকে নিয়েছি।
একদিন এ-সব কিচ্ছু থাকবে না। সে দিন আল্লাহ আমাদের এ-সব আড্ডাগুলোর বদলা যেন দেন। আড্ডাগুলো তেমন কোনো কাজের ছিলো না। তবে আল্লাহ,তাঁর রাসূল আর তাঁর দ্বীনের ভালোবাসা মেখে ছিলো আমাদের এই খেজুরে আলাপগুলোতে। এই অক্ষম ভালোবাসাটুকু দরবারে এলাহিতে কবুল হোক। আমিন।