Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

হযরত মা ফাতেমা রাঃ এর জীবনী pdf

হযরত মা ফাতেমা রাঃ এর জীবনী pdf Description

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; এম এ সাইফুল ইসলাম লিখিত বই হযরত মা ফাতেমা রাঃ এর জীবনী এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

আজকের কথা নয় প্রায় চৌদ্দশ বছর আগের কথা যখন আরব জাহান নানাবিধ পাপাচারে নিমজ্জিত হয়ে অমানবিক কাজে সর্বদা লিপ্ত থাকত, অকাজে কুকাজে মানুষগুলোর মন মরমর হয়েছে। শুধু তাই নয় ক্ষুধারত বাঘের মত, লোলপ নয়নে চেয়ে একজন অন্যজনের রক্তপানে সুবাধে প্রহর গুনছে, এমন দেশের এমন মানুষের মনে কি করে প্রেমের বান সৃষ্টি করা যায়, কেমন করে সমাব সহানুভূতির ফুল ফুটানো যায়। কে-না জানে পরশ পাথর লৌহে করে হেম? বিশ্বাসে অমলে পুড়ে স্বর্ণ হল খাঁটি? তার সরবে আজও ধন্য আরব দেশের মাটি।” যারা হিংস্র পশুকে বশ করতে পারে, তাদের অদ্ভুত ক্ষমতা ও দক্ষতা দেখে অজান্তে আমরা তাদের বাহবা দেই, আর যারা হিংস্র মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে সাধু মহৎ করে তোলেন, সত্যি তাদের মহতী শক্তিতে বিমোহিত হয়ে আমরা জগৎ বরেণ্য মহামানব ভেবে মাথায় তুলেন না।

আমাদের হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছিলেন, একজন অসাধারণ মানুষ। এমন ভাবনায় হযরতের পবিত্র মুখ হয়েছে বুকের মধ্যে শিরা উপশিরাগুলো থরথর করে কাঁপছে ঠিক এমনি মুহূর্তে এক শুভক্ষণে পবিত্র মক্কার প্রসিদ্ধ ধনবতী মহিলা বিবি খাদিজার বাড়িতে তার ডাক পড়ল। নিখিল বিশ্বের ত্রাণকর্তা সুপারিশীর কাণ্ডারী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বিবি খাদিজার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তার কারবারের অধিনায়ক হয়ে তাকে সিরিয়ায় বাণিজ্যে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ করলেন। রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বয়স তখন কেবল চব্বিশ পার হয়ে পঁচিশে পা দিয়েছে। তার সাংসারিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল যা লিখনির মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। জন্মের পূর্বে পিতা সিরিয়া দেশে বাণিজ্য করতে গিয়ে ফেরার পথে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন।

জন্মের পর দাই হালিমা পাঁচ বছর তাকে মায়ের আদর সোহাগ দিয়েমায়ের মত বুকে ধরে রাখেন। অতীব দুঃখের বিষয় হল, ছয় বছর বয়সেমা আমেনাকে এবং আট বছর দুইমাস দশদিন পরে প্রিয় দাদা আবদুল মুত্তালিব তাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন। তারপর চাচা আবু তালিবের সাথে দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে তার জীবনের সুদীর্ঘ দিন চলে যায়। পিতা-মাতা রেখে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে হতে তেমন কিছু পায়নি। পাবার মধ্যে পেয়েছিলেন শুধু পাঁচটি উট আর কয়েকটি ছাগল। যার কারণেই পিতা-মাতার যেতে হজ্ব। চাচা আবু তালেব ছিলেন বাড়ির কর্তা। যার কারণে প্রয়োজনবোধে অনেক সময় তার সংসারের কাজে সহায়তা করতে হত। তবে এতেও তাদের চাহিদা মত অন্ন বস্ত্রের ক্লেশ ঘুচেনি। আর ঘুচার কথাওনা, যেহেতু আবু তালিবের সংসার ছিল খুবই বড় এছাড়া আয়ের চেয়ে ব্যয় ছিল অনেক বেশী।

বিধায় কষ্ট ক্লেশের মধ্যে দিয়ে তাদের দিন কাটাতে হত। তারা শুকনো রুটি আর সামান্য কয়েকটি খেজুর পেলে অনেক খুশি হয়ে নিজেকে কৃতার্থ মনে করতেন। তবে একথা নিশ্চিত সত্য যে আর্থিক অবস্থা যত খারাপ হোক না কেন চরিত্র সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ নিশ্চিত সত্য যে আর্থিক অবস্থা যত খারাপ হোক না কেন চরিত্র সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দেশের প্রতিটি মানুষের শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ছিলেন। শুধু শ্রদ্ধাভাজন নয় সকলের মুখেই হযরতের উত্তম চরিত্রের বিভিন্ন দিক আলোচনা হত। তার নির্লোভ মন, উদার হৃদয়, সুমিষ্ট ব্যবহার এবং নিরপেক্ষতার জন্যে তাকে সর্বস্তরের লোকজন বিশ্বাস করত, ভালবাসত। কেবল বিশ্বাসই নয় বিশ্বস্ততার পুরস্কার স্বরূপ তাকে আরববাসী ‘আল-আমীন’ (বিশ্বাসী) উপাধি দিয়েও সম্মানিত করে ছিল।

একথা বাস্তব সত্য যে আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে থাকলেও সমাজে তার মান মর্যাদা ছিল সকলের ঊর্ধ্বে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর এই সুনাম সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে বহুগুণের অধিকারিণী হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বিবি খাদিজা আরব জাহানের মধ্যে এত লোক থাকা সত্ত্বেও তার বিশাল বানিজ্যের বাপারের কর্তা হতে ডেকে ছিলেন। সুখ শান্তির মালিকতো আল্লাহ তায়ালা তার ইচ্ছায় সব কিছু হয়ে থাকে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিবি খাদিজার মিনতি এড়াতে পারলেন না। পিতৃব্যের বিশেষ অনুমতি নিয়ে, তিনি সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হলেন। পথ চলতে চলতে সেই বসরা নগরে যেয়ে উপস্থিত হলেন। যেই বসরা নগরে বার বছর আগে একবার চাচা আৰু ভালেবের সাথে গিয়ে ছিলেন। বসরা নগরে উপস্থিত হওয়া মাত্রই তথাকার এক খ্রীষ্টান পাদরী তার সঙ্গীদের বলতে লাগলেন আমাদের কিতাবে শেষ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যে সমস্ত লক্ষণের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

এর চালচলন হাব-ভাবের সাথে তা হুবহু মিলে যাচ্ছে। সওদাগরদের লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা এক মূহুর্তও এখানে অবস্থান করবেনা অতিশীঘ্রই দেশে ফিরে যাও। নতুবা দুষ্ট ইহুদীরা এর অনিষ্ট করতে পারে। সত্যি সওদাগররা খ্রীষ্টান পাদরীর কথা অনুযায়ী তড়িৎগতিতে বেচা কেনার কাজ সেরে দেশের পথ ধরলেন। এদিকে বিবি খাদিজা সংবাদ পেলেন যে তার লোকজনেরা দেশে ফিরে আসছে। পথ পানে চেয়ে দিন গুনতে গুনতে দিন ফুরাল। সে দিন শেষ বেলা বিবি খাদিজা তার বালখানার ছাদে ওঠে হাঁটতেছেন হঠাৎ রবি কিরন রাঙ্গা পাহাড় গুলির দিকে তাকিয়ে আছেন এমনি সময় দেখতে পেলেন একজন সওয়ার উটের পিঠে চড়ে আসছে। বিবি খাদিজা ভাবতেছেন লোকটি কে?

মনে হচ্ছে আমাদের আল আমীন। তাহরে কি আমার লোকজন ফিরে এল। বালাখানার ছাদে দাঁড়িয়ে ভাবতে ভাবতে দেখতে সওয়ার এসে তার ঘরের দুয়ারে দাড়াল। কোরেশ কুল রানী বিবি খাদিজা বিশ্বাসী কর্মচারীকে মনের হর্ষে বরণ করে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আর সকলে কোথায়?

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন তারা পেছনে আসতেছে। আমি আপনাকে সু সংবাদ দেওয়ার জন্যই সকলের আগে চলে এসেছি। সে বারে বিবি খাদিজার অনেক লাভ হয়েছে বলে তিনি হযরতের প্রতি খুশী হয়ে তাকে পুরস্কার করলেন। হযরত পুরস্কার পেয়ে খুশী হলেও হৃদয়ের মনি কোঠায় কেবল পুরান জমাট বাধা কথা লুকোচুরি করছে, তার মনের মধ্যে দিবা রাত্রি এক কথাই ভাসছে কিভাবে দেশ, ভাইদের উদ্ধার করি। পথ চলছে এমনি সময়ও ভাবতেছে কি ভাবে এ রাক্ষুসে মানুষদের ফুলের মত নিষ্পাপ সুন্দর করে তুলি।

রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান তার মহিমা বুঝবার শক্তি কারো নেই। হযরত রাসূলুল্লাহ কুলের শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দিনরাত বসে বসে ভাবেন, ভেবে সারা হন, কিন্তু শত চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিন কাটালেও হাল ছেড়ে দেননি। ভাবনা ভুলেন না। এমনি চিন্তা ভাবনার মধ্যে হঠাৎ এক বুড়ী এসে তার কাছে বিনয়ের সাথে দাঁড়ালো বুড়ীর নাম হল নাফিসা। নফিসা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে লক্ষ্য করে বললেন, হে সুন্দর যুবক! এত ভাবছো কি? এবার তোমার ভাবনা চিন্তার কারণ শুনে, তার একটা বিহীত অবশ্যই করব। এবারে আমি তোমার বিবাহের সংবাদ নিয়ে এসেছি।

Rate the Post

Categories

Writers

Popular Books

Scroll to Top