Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

হযরত ইমাম হাসান রাঃ ও হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ pdf

হযরত ইমাম হাসান রাঃ ও হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ pdf Description

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; সফিউর রহমান মোবারকপুরী রহঃ লিখিত বই হযরত ইমাম হাসান রাঃ ও হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতী যুবকদের সরদার।

হযরত ইমাম হাসান (রাযি.) ও হযরত ইমাম হুসাইন (রাযি.) আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ.)-এর আদরের পৌত্র। তিনি তাদেরকে প্রাণাধিক ভালোবাসতেন। তাদের মাধ্যমেই এ দুনিয়াতে মহানবী (সা.)-এর বংশধারা চালু রয়েছে।

পবিত্র মক্কা শরীফ হতে প্রকাশিত শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.)-রচিত এ কিতাবে হযরত ইমাম হাসান (রাঃ.) ও হযরত ইমাম হুসাইন (রাযি.)-এর সংক্ষিপ্ত জীবন-চরিত ও মর্যাদা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যা পাঠক-পাঠিকা অধ্যয়ন করে তাঁদের সঠিক মর্যাদা ও অবস্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারবে এবং এতে আহলে বাইতের মুহাব্বত উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রিয় পৌত্রের জীবনাদর্শ জানার, বোঝার এবং তার ওপর আমল করার তাওফিক দিন। আমীন।

হযরত হাসান (রাযি.)-এর নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে একজন মুমিনের অন্তর ভালোবাসায় ভরে যায়। তার মনে জাগে অনন্য অনুভূতি। পুরো মুসলিম-জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর প্রতি সেই ভালোবাসাই পোষণ করে যা তারা পোষণ করে তার নানাজান মহানবী রাসুলে করীম (সা.)-এর প্রতি। বিশ্বাসী মানুষের এ ভালোবাসার পিছনে অনেক কারণ আছে। প্রথমত তিনি হলেন আল্লাহর নবীর প্রিয়তম কন্যা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ.)-এর পুত্র। অপর দিকে অনুপম চরিত্র ও ধর্মপরায়ণতার জন্যও তিনি ছিলেন বিখ্যাত। হাসান মানি হলো উত্তম।

তিনি ছিলেন মহাসৌভাগ্যের অধিকারী। তাঁর চরিত্র ছিল মধুর, শারীরিক গঠন ছিল খুবই সুন্দর। তার কথাবার্তা ছিল খুবই আকর্ষণীয়। তার নীরবতাও ছিল চমৎকার। দাতা হিসেবে তিনি ছিলেন উত্তম। যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতেন অতি চমৎকার ভাবে। সাথীদের মধ্যে তিনি ছিলেন উত্তম সাথী। নির্বোধদের খারাপ আচরণ সহজেই মাফ করে দিতেন।

একজনের মধ্যে এত গুণের সমাবেশ দেখে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? যদি তাঁর নানাজান হন স্বয়ং দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

তাঁর বংশধারা: হাসান ইবনে আলী ইবনে আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদে মুনাফ। ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগে নামটি ছিল অজ্ঞাত, তিনিই প্রথম শিশু যাঁকে ‘হাসান’ নামকরণ করা হয়। তাঁর ভাই হুসাইনের নামটিও ছিল অভূতপূর্ব। প্রকৃতপক্ষে হাসান-হুসাইন নামগুলো জাহেলি যুগে কারো জানা ছিল না।

হযরত মোফাজ্জল বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) আপন দুই নাতির নাম হাসান এবং হুসাইন রাখার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ এ দুটো নামকে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন।

তাঁর উপনাম হচ্ছে আবু মুহাম্মদ। তিনি ছিলেন রাসূল (সা.)-এর কলিজার টুকরা নাতী, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ.)-এর পুত্র। আর ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ.) ছিলেন হুযুর আকরাম (সা.)-এর প্রিয়তমা কন্যা এবং দুনিয়ার সকল নারীদের সরদার।

তাঁর সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেন, এ হচ্ছে আমার প্রিয়তম সন্তান, এ সন্তান একজন নেতা এবং আমি আশা করি, আলাহ দু’দল মুসলমানদের মধ্যে তাঁর মাধ্যমে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করবেন।

মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর নবীর কথার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। কারণ পরবর্তীকালে হযরত হাসান (রাযি.)-এর কয়েকটি বিরল গুণ যেমন- পক্ষপাতহীনতা, উচ্চতর নৈতিক মূল্যবোধ, ব্যক্তি-স্বার্থের ঊর্ধ্বে মুসলিম জাতির স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার মতো বিবেচনাবোধ ও নিঃস্বার্থপরতা মুসলমানদের দু’দলের মধ্যে অনিবার্য রক্তপাত এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তাঁর পিতা হযরত আলী (রাযি.) ছিলেন আল্লাহর হাবীব রাসূলে করীম (সা.)-এর খুবই প্রিয়। তিনি রাসূলুলাহ (সা.)-এর ঘরেই থাকতেন। মহিলাদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন হযরত খাদিজা (রাযি.) আর পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রাযি.)। তেমনিভাবে কিশোরদের মধ্যে প্রথমেই যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি হচ্ছেন হযরত আলী (রাঃ)।

Rate the Post

Categories

Writers

Popular Books

Scroll to Top