বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর pdf

তারেক শামসুর রেহমান লিখিত বই বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর pdf ডাউনলোড করতে নিচে দেওয়া DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন।

লেখকতারেক শামসুর রেহমান
ধরনরাজনীতি
ভাষাবাংলা
প্রকাশকশোভা প্রকাশ
প্রকাশকাল২০১৬ ইং
পৃষ্ঠা২৭২
ফাইল সাইজ১৩ MB
ফাইল টাইপPDF

বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর মূলত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস নির্ভর একটি গ্রন্থ। বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে এবং যা বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল, তা আলোচনা করা হয়েছে মোট ঊনিশটি অধ্যায়ে। এখানে মূল্যায়ন করা হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। কেননা, ইতিহাসনির্ভর ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করা যায়, মূল্যায়ন করার সুযোগ থাকে না। বিংশ শতাব্দীর ইতিহাস নিয়ে অন্যত্র আলোচনা হয়েছে সত্য, তবে পার্থক্য এখানেই যে বর্তমান গ্রন্থটি ২০০৭ সালে লিখিত হয়েছে। একুশ শতাব্দীর প্রথম দশকে এসে আমি দেখার চেষ্টা করেছি বিংশ শতাব্দীর ঘটনাবলি।

বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর pdf download

প্রায় ক্ষেত্রেই ঘটনাবলী ও আলোচনা ২০০০ সাল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রেখেছি। কেননা, বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি নিয়েই গ্রন্থটি রচিত। দু’একটি ক্ষেত্রে আলোচনার সর্বশেষ তথ্যাবলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এ কারণেই যে এতে করে ওই ঘটনার ধারাবাহিকতা বুঝতে সহজ হবে। যেমন বিশ্ব পরিবেশগত সমস্যা অষ্টাদশ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা একুশ শতকের অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়। গেল নভেম্বর (২০০৭) বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড় বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনেরই ফল। ‘সিডর’-এর বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। প্রায় একই সময় ইউএনডিপি’র একটি প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

এই বিষয়গুলো গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। তাতে করে পাঠক বুঝতে পারবেন বিশ্ব পরিবেশগত সমস্যা বিংশ শতাব্দীর একটি সমস্যা হলেও, এর ব্যাপকতা ও সচেতনতা একুশ শতকে এসে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণেই সর্বশেষ তথ্যটি দিয়ে আমি পাঠককে সচেতন করতে চেয়েছি। একই কথা প্রযোজ্য নতুন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কেও। এই বিষয়টি সপ্তদশ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে এটা ছিল অন্যতম আলোচিত বিষয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানানো হলেও, দেখা গেছে ওই সময়ে যে ব্যবস্থা বিকশিত হয়েছিল, তাতে ধনী ও গরিব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবধান বেড়েছিল।

বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর ১ম খন্ড pdf

একুশ শতকেও এটা হবে অন্যতম আলোচিত বিষয়। সুতরাং বিকশিত এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, আমরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, তা সর্বশেষ তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর অপর একটি অন্যতম আলোচিত বিষয় হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতন। বিষয়টি আলোচিত হয়েছে ষোড়শ অধ্যায়ে। এখানে এই বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য গ্রন্থের সাথে পার্থক্য এই যে, প্রচুর উপাত্ত এবং তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, কেন সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতন ঘটল আর কেনই বা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেল।

গ্রন্থটিতে মোট ঊনিশটি অধ্যায় রয়েছে। এই উনিশটি অধ্যায়েই বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত আঠারোটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এখানে অন্যান্য গ্রন্থের মতো ধারাবাহিকভাবে বছর অনুযায়ী ঘটনাগুলো আলোচনা করা হয়নি। তবে মূল বিষয়গুলো নির্ধারণ করে এবং আলাদা আলাদা অধ্যায়ে ভাগ করে অন্যান্য ছোটখাটো ঘটনা মূল অধ্যায়ের সাথে যোগ করা হয়েছে। যেমন বলা যেতে পারে, কোরিয়া ও কিউবা সংকটের কথা। এই দুটি বিষয়কে স্নায়ুযুদ্ধ সম্পর্কিত অধ্যায়ে (সপ্তম অধ্যায়ে) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেননা, আমি মনে করি কিউবা সংকট তো বটেই, কোরিয়া উপদ্বীপের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্নায়ুযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত।

বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর pdf file download

ঠিক একই কথা প্রযোজ্য ন্যাটোর জন্ম ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি। বিংশ শতাব্দীতে গ্যাট নিয়ে বারে বারে আলোচনা হয়েছে এবং গ্যাট আলোচনার সফল সমাপ্তির পর ১৯৯৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) যখন আত্মপ্রকাশ করে, তখন সবার দৃষ্টি ছিল এই সংস্থাটির দিকে। কিভাবে ডব্লিউটিও উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থরক্ষা করবে, এটা বিংশ শতাব্দীর শেষ দিনগুলোতে যত বেশি না আলোচিত হয়েছে, তার চাইতে বেশি আলোচনা হচ্ছে একুশ শতকে এসে। আমি তাই সপ্তদশ অধ্যায়ে গ্যাট আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ ও বাংলাদেশ কিভাবে আগামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছি।

নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যে অর্থনৈতিক জোট গঠিত হয়েছে, তা একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। তা বিবেচনায় নিয়ে সপ্তদশ অধ্যায়ে এপেক ও নাফটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিবেচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গঠন কাঠামো ও এর ভূমিকা এই অধ্যায়ে আলোচনা হতে পারত। কিন্তু ইইউ সম্পর্কিত আলোচনা আমি পঞ্চম অধ্যায়ে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপীয় রাজনীতি) অন্তর্ভুক্ত করেছি। কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের রাজনীতি বুঝতে হলে ইসি বা ইইউ’র রাজনীতি বুঝতে হবে। এ কারণে ন্যাটো গঠন, এর পটভূমি, একই সাথে ইইউ’র গঠন কাঠামো এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর তারেক শামসুর রেহমান pdf

মধ্য এশিয়ার রাজনীতি একুশ শতকে বারবার আলোচনায় আসছে। বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় মুসলমান প্রধান ছয়টি দেশ প্রধানত দুটি কারণে বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে, এই অঞ্চলের প্রচুর জ্বালানি সম্পদ ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইসলামী মৌলবাদী রাজনীতির বিকাশ। বিংশ শতাব্দীতে এই বিষয় দুটো তথা মধ্য এশিয়ার রাজনীতি নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হয়নি। এই দেশগুলো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার প্রাক্কালে সিআইএস বা কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস’- এর ব্যানারে একত্র হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিআইএস-এর ভূমিকা তেমন একটা নেই। যেহেতু মধ্য এশিয়ার ঘটনাবলী বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সে কারণে গ্রন্থে এই বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা করিনি। তবে ত্রয়োদশ অধ্যায়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।